Wednesday, March 11, 2020

আমার কম্পিউটার, আমার সাস্থ্য

আমার কম্পিউটার, আমার সাস্থ্য
এই লেখাটি আমরা যারা ঘরে বসে কাজ করি তাদের বেলায় বেশি প্রযোজ্য। আমি নিজে যেমন করার চেষ্টা করি তাই শেয়ার করছি। এই লেখাটি কোন জ্ঞান গর্ভ লেখা নয় আর আমার এমন কোন জ্ঞান নেই যা এতো বড় কমিউনিটিতে উপস্থাপন করতে পারি। মনে পড়ছে এর আগে এই গ্রুপে আমাদের সাস্থ্য সংক্রান্ত দুইটা পোস্ট দিয়েছিলাম- অনেকেই ট্রল করেছিলেন ফাইবার গ্রুপে একটা সাস্থ্য বিভাগ খুলা দরকার। যাই হোক, যদি লেখাটি পাবলিশ করা হয় তবে বন্ধুদেরকে একবার এই বিষয়ে তাগাদা দিতে পারলাম।
ডেস্কের পাশে টি টেবিল বা টুলের উপর ঝগ- গ্লাস রাখুন। অথবা রুমের সামনে ফিল্টার গ্লাস বা মাটির হাঁড়ি। এক দেড় ঘণ্টা অন্তর পানি খান।
পানি খেতে মন না চাইলে এক ঢোক খান। বিস্কুট খেতে মন না চাইলে একটা ছোট বিস্কুট খান।
.
সামান্য হলেও একটু খানি সিজনাল ফল খান। সিজনাল ফলের সামান্য তালিকা হচ্ছে যখন যা পাওয়া যায়। কাঁচা আম, করমচা, বড়ই বাদ যাবে না। স্বাদ খুজলে হবে না। সব কিছুতেই অসীম নিয়ামত- উপকারিতা রয়েছে। কুর আনে আয়াত আছে। হুবহু মনে নেই তবে এমন বলা আছে যে, আমি সব ঋতুতে তোমাদের জন্য ফল মূল এর ব্যবস্থা করেছি যার মধ্যে অশেষ গুণ আছে যা তোমাদেরকে রোগ ব্যাধি থেকে রক্ষা করবে।
.
এক দেড় ঘণ্টা পর পর ১০ গজ হলেও হাঁটুন। শরীরে টানা দিন। পারলে দুই তিন বার উঠা বসা করুন। অথবা চেয়ারে পিছনে টান করে বসুন। এদিক সেদিক তাকান। কারো সাথে কথা বলুন। অকারনে হলেও একটু হেসে দিন বা একটা ফোন দিন। মামী, খালা বা আপুকে বা বন্ধুকে। বাড়ির সামনে রোদে হেঁটে হেঁটে ফোন করতে পারেন। ভিটামিন ডি খাওয়া হল, ফোন করাও হল।
.
শরীর যন্ত্রটি তৈরি করা হয়েছে মুভমেন্ট এর জন্য। কিছুদিন মুভমেন্ট না করলে বিকল হয়ে যায়। যত ব্যস্তই থাকুন, দিনে অন্তত একবার মুভমেন্ট করুন। হয়রান হবার ব্যায়াম করলে উত্তম। না পারলে অন্তত কিছু শারীরিক শ্রম দিন।
.
টেবিল এমন ভাবে বসান যেন মনিটর দুই ফুটের বেশি দূরে থাকে। আপনার মাথার পিছনে লাইট থাকে। চোখের সমান্তরালে মনিটরের সেন্টার থাকে। দুই ইঞ্চি নিচে হওয়া ভালো কিন্তু এক ইঞ্চি উপরে হওয়া ভালো না।
.
চেয়ার অবশ্যই হাতাওয়ালা। কীবোর্ড দুই কনুই থেকে এক ইঞ্চি নিচে থাকতে হবে। কোন ক্রমেই কনুই থেকে কব্জি উপরে যেন না হয়।
.
কারো কারো শোবার ঘরে কম্পিউটার থাকে। কম্পিউটার অন রেখে ঘুমাবেন না।
কম্পিউটার ব্যাপক কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে। এই গ্যাস ভারী বিধায় মেঝেতে জমা হয়। ঘরের দরজা জানালা বন্ধ থাকলে যদি ফ্যান চালু থাকে তবে পুরো ঘরে ছড়াবে এবং আপনি খাবেন। ফ্যান চালু না থাকলে দরজা জানালা বন্ধ থাকলেও আপনি খাবেন। আর একটা বিষয়ে দেখেন যে, কম্পিউটার যেন আপনার মাথার দিকে না থাকে। যেন পায়ের দিকে থাকে।
.
মশার উপদ্রব বেশি হলে মাগরেবের সময় কয়েল ধরিয়ে কিছুক্ষণ পর নিভিয়ে দিন। পরে আবার কোন সময় দরকার হলে কয়েল নিজের থেকে দূরে রাখুন যেন নাকে ধুঁয়া কম লাগে। বন্ধ ঘরে কয়েল ধরাবেন না।
.
সকালে বা সন্ধ্যায় নাস্তা করে কাজে বসলেন আর আর্জেন্ট কাজ করতে করতে ৪-৫ ঘণ্টা গেল উঠাই হল না এমন যেন না হয়।
এই সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা, টিপস কমেন্টে শেয়ার করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ। 

সংগৃহীত

0 comments:

Post a Comment