
আসসালামু আলাইকুম। প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যে, এই লেখাটি সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ মেডিটেশন সাইট থেকে কপি করা তাই আমিো হুবুহু দিয়ে দিলাম। কিন্তু আমি নিজে মেডিটেশন জানি এবঙ নিয়মিত করি। সময়ের অভাবে লিখতে পারি না। দয়া করে ক্ষমা সুন্দরদৃষ্টিতে দেখবেন।
মেডিটেশনের ইতিহাস
নতুন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছি
নতুন বিষয়টির নাম হচ্ছে মেডিটেশন
নাম থেকেই মোটামুটিভাবে বোঝা যাচ্ছে যে, মনের সাথে সংযোগ আছে এমন একটি বিষয় আসলে শুধু মনের সাথেই নয় দেহের সাথেও মেডিটেশনের রয়েছে বিশাল এক সম্পর্ক
আমরা যদি হাজার হাজার বছর আগে ফিরে যাই, তখন দেখব যে মানুষ বর্বর ছিল কারণ মানুষ জানত না যে, কীভাবে মনের শক্তিকে নিজের উন্নতির জন্য বা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হয়
মানুষ যখন ধীরে ধীরে সভ্যতার দিকে এগোতে লাগল, তখন মনের শক্তিকে ধীরে ধীরে ব্যবহার করতে শিখল এভাবেই একদিন মানুষ নিজেকে নিয়ে চিন-া করতে লাগল, নিজেকে বোঝার চেষ্টা করতে লাগলএকদিন বোধগম্য হলো যে আমাকে নিশ্চয় কেউ সৃষ্টি করেছে, তা না হলে আমি এই পৃথিবীতে এলাম কী করে
সভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় এক পর্যায় এসে মানুষ যাদের প্রকৃতিতে শক্তিশালী মনে করত তাদেরকেই স্রষ্টা বা দেবতা মনে করতে লাগল এবং তাদের জন্য পূজা-অর্চনা করত সূর্য, চন্দ্র, আগুন, মাটি, বাতাস এদের কে দেবতার রূপে দেখা হত কিন’ পরবর্তীতে মানুষ আরো চিন-া করে দেখল যে সূর্য, চন্দ্র এরা আসলে স্রষ্টা নন কারণ এদেরকেও তো কোনো অদৃশ্য শক্তি সৃষ্টি করেছে সেই অদৃশ্য শক্তিকে খুঁজতে গিয়েই ধ্যানের উৎপত্তি হল এবং স্রষ্টার অদৃশ্য রূপ সম্পর্কে ধারণা এল স্রষ্টাকে খোঁজার পদ্ধতিই হলো ধ্যান বা মেডিটেশন
মানুষ যত বেশি সভ্যতার দিকে এগোতে লাগল, মানুষের মনে তত বেশি প্রশ্ন দেখা দিতে লাগল এভাবে একদিন বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বিজ্ঞানের আর্বিভাব হলো জ্ঞান-বিজ্ঞান-এর মধ্য দিয়ে মানুষ আলোর দিকে এগোতে লাগল
ধ্যান বা মেডিটেশনের সাথে বিশ্বাস-এর বিশাল এক সম্পর্ক রয়েছে স্রষ্টা আছে এই বিশ্বাস থেকেই মেডিটেশন-এর উৎপত্তি বিজ্ঞানের আর্বিভাব ধ্যানের পরিধিকে আরও বাড়িয়ে দিল যখন একজন মানুষ ধ্যানের মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে খুঁজতে থাকে, তখন ঐ ব্যাক্তির শরীর ও মনের মধ্যে কি রকম ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া হয় বিজ্ঞান তা খুঁজতে লাগল বিজ্ঞান দেখল যে ধ্যানস’ বা মেডিটেশন অবস’ায় মানুষের মধ্যে এক প্রকার শক্তি তৈরি হয় আরও বুঝতে পারা গেল যে, এই শক্তি মানুষের জীবন চলার পথে ব্যবহার করে শারীরিক ও মানসিকভাবে নিজেকে অনেক এগিয়ে নেওয়া যায় শারীরিক, মানসিক, পড়াশোনা, জ্ঞানচ্চর্চা, জাগতিক চাওয়া-পাওয়া, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড এরকম বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহার করে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন সম্ভব বিজ্ঞানের এই চিন-াধারা থেকেই আধুনিক মেডিটেশন বা ধ্যানের উৎপত্তি
যুগে যুগে মানুষ ধ্যানের চর্চা করে আসছে, এখনও করছে মানুষ স্রষ্টাকে পাওয়ার জন্য বনে জঙ্গলে, পাহাড়ে, গুহায় এরকম নিভৃত স’ানে গিয়ে ধ্যানস’ হত বর্তমানে মানুষ নিজের প্রয়োজনে মেডিটেশনকে ব্যবহার করে উপকৃত হচ্ছে বিজ্ঞান আমাদেরকে সেই সুযোগ করে দিয়েছে এখন আর বনে জঙ্গলে যেতে হয় না, নিজের ঘরে বসেই একজন মানুষ মেডিটেশন চর্চা করতে পারে যে কারণে সারা বিশ্বে মেডিটেশন এত জনপ্রিয় মনে রাখতে হবে যে মেডিটেশন পাশ্চাত্যের কোনো বিষয় নয়, এটি প্রাচ্যের এদেশে সুফি সাধকেরাই এর গোড়াপত্তন করে গেছেন আমরা এখনতাকে নিজের জীবনে প্রয়োগ করছি মাত্র
মেডিটেশন আসলে এক প্রকার মানসিক ব্যায়াম
সবশেষে মেডিটেশন সম্পর্কে এভাবেই বলা যায় যে
মেডিটেশন হচ্ছে মনের বিশেষ এক অবস’া, যে অবস’ায় মনের শক্তি বহুগুণে বৃদ্ধি পায় এই বর্ধিত শক্তি নিজের এবং অপরের কল্যাণে ব্যবহার করে জীবনকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেয়া যায়
0 comments:
Post a Comment