
শ্বাস-প্রশ্বাস ও মেডিটেশন
কেমন আছেন আপনি?
মোটামুটি আছি, চলে যাচ্ছে বা কেটে যাচ্ছে,
না বলে –
নিশ্চয় বলবেন ভালো আছি।
আমি ভালো থাকি
আমরা ভালো থাকি
পরিবার ভালো থাকুক
সমাজ ভালো থাকুক
দেশ ভালো থাকুক
এটাই চাই আমরা সকলে। আসলে ভালো থাকার জন্য প্রথম পদক্ষেপ নিতে হয় নিজেকেই। মানুষ যদি ভালো হয়ে যায় তাহলে এই পৃথিবী হবে মানুষের জন্য নিরাপদ আবাসস’ল, মানুষ সুখে শানি-তে থাকবে। যুদ্ধ-বিগ্রহ/ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে।
এবারে নিজে কীভাবে শান- থাকব অথবা শানি-তে থাকব সেই বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।
নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন যে, আলোচনার মধ্যে অথবা মেডিটেশনের পদ্ধতি যখন বলি তখন একটি মৌলিক বিষয় সব সময় ঘুরে ফিরে আসে, আর তাহলো ‘শ্বাস-প্রশ্বাস’ অর্থাৎ
জীবনের অপর নাম শ্বাস-প্রশ্বাস
জীবনীশক্তির অপর নাম শ্বাস-প্রশ্বাস
জীবাত্মার অপর নাম শ্বাস-প্রশ্বাস
বেঁচে থাকার অপর নাম শ্বাস-প্রশ্বাস
এবারে বুঝতেই পারছেন আমাদের জীবনে শ্বাস-প্রশ্বাসের গুরুত্ব কত অপরিসীম। তাহলে এই শ্বাস-প্রশ্বাসকে মেডিটেশনে যদি ব্যবহার করে প্রয়োগ করতে পারি তাহলে আমরা অবশ্যই উপকৃত হবো।
এখন প্রশ্ন হলো যে-
সারাদিনই তো শ্বাস নিচ্ছি এবং ছাড়ছি
তাহলে পুনরায় মেডিটেশনের জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রয়োজন কেন।
এর উত্তর খুব সহজ।
আমরা যে শ্বাস-প্রশ্বাস নেই তা শুধুমাত্র নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা অর্থাৎ জীবন ধারন-এর জন্য। কিন’ মেডিটেশনের জন্য যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে হয় তা নেওয়ার পদ্ধতি ভিন্ন প্রকৃতির। মেডিটেশনের দৃষ্টিকোন থেকে শ্বাস-প্রশ্বাস দুই প্রকার-
স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস ও সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস
নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমরা স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাসকে ব্যবহার করে থাকি। সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস মেডিটেশন চর্চার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস বলতে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রতি খেয়ালকে ধরে রাখাকে বুঝি। দিনের বেশিরভাগ সময় যদি শ্বাস-প্রশ্বাসের দিক খেয়ালকে ধরে রাখা যায় তাহলে শরীরের অনেক উপকার হয়। কিন’ সব সময়তো আর শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল করে ধরে রাখা সম্ভব নয়। তাই মেডিটেশনের সময় এই কাজটি করলেও আপনি উপকৃত হবেন।
কীভাবে করবেন এবার তাই বলছি।
দিনের যে কোনো সময় বা অবসর মুহূর্তে অথবা নির্দিষ্ট কোনো সময় আপনি আসনে বসুন। তার পর চোখ বন্ধ করে, ধীরে ধীরে শ্বাস টেনে নিতে থাকুন, গভীর ভাবে। খেয়াল করুন শ্বাস বুক পর্যন’ চলে এসেছে।
এবার ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে থাকুন
এবং
খেয়ালকে শ্বাস-প্রশ্বাসের দিকে রাখুন।
যতক্ষণ ইচ্ছা হয় বা ভালো লাগে
ততক্ষণ
এভাবে চর্চা করতে থাকুন।
শুধুমাত্র খেয়াল রাখবেন, শ্বাস-প্রশ্বাসের কারণে বুকে যেন চাপ না পরে।
শ্বাস-প্রশ্বাস হচ্ছে ক্রিয়েটিভ মেডিটেশনের প্রাণ।
নিজে ভালো থাকুন,
অন্যকে ভালো রাখুন।
এই লেখাটি সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ মেডিটেশন সাইট থেকে কপি করা
0 comments:
Post a Comment