
টেনশন ও মেডিটেশন
মেডিটেশনের ভাষায় বলতে হয় যে,
জীবনের অপর নাম শ্বাস-প্রশ্বাস
শ্বাস-প্রশ্বাসের অপর নাম জীবন।
জীবন শুরু হয়েছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মধ্য দিয়ে হার্টের স্পন্দন থেকে। যে দিন শ্বাস-প্রশ্বাস থেমে যাবে সেই দিন জীবনের অসি-ত্ব লোপ পাবে। বর্তমান সমাজ মানুষকে কর্মমুখী করে ফেলেছে। মানুষ গতিশীল হয়েছে, মানুষের জাগতিক চাহিদা ক্রমে বেড়েই চলেছে। মানুষ জীবনমুখী হওয়ার চেয়ে বহিরমুখী হয়ে পড়েছে বেশি। যার ফলে মানুষের মধ্যে স্ট্রেস, টেনশন ক্রমেই বেড়ে চলেছে। স্ট্রেস, টেনশন যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সেক্ষেত্রে মানুষ গতিশীল থাকে, কর্মমুখী থাকে, জীবনে গতিশীলতা আসে কিন’ স্ট্রেস, টেনশন যদি বেশি হয়ে পড়ে সেক্ষেত্রে মানুষ নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। ধীরে ধীরে মানুষের মধ্যে অসুখ-বিসুখ দানা বাধতে থাকে এবং জীবনের প্রতি অনীহা চলে আসে। টেনশন বোঝার সহজ উপায় হচ্ছে, টেনশন চলাকালীন আপনার হার্ট বিট বেড়ে যাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস ঘন হয়ে আসবে। সকল চিন-াগুলো দ্রুত ঘটতে থাকবে। যে কোনো অবস’ার পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মধ্যে টেনশন, ডিপ্রেশন জাগ্রত হতে পারে। কখন কোন অবস’ার পরিপ্রেক্ষিতে টেনশন জাগ্রত হবে তা বলা মুশকিল। তবে সাধারণভাবে বলা যেতে পারে যে আমাদের চাওয়া এবং পাওয়ার মধ্যে সমন্বয় না হলেই মনের মধ্যে যে অস্বাভাবিকতা জাগ্রত হয় তাই টেনশন।
জীবনকে সুস’ স্বাভাবিকভাবে পরিচালিত করার জন্য, বিশেষ করে নিজেকে সুস’ রাখার জন্য, দুশ্চিন-ামুক্ত থাকার জন্য অবশ্যই টেনশন পরিহার করা উচিৎ।
টেনশন থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার জন্য সারা দিনের কর্মমুখর ব্যস- জীবনের মধ্য থেকে নিজেকে কিছু সময়ের জন্য আলাদা করে ফেলুন। সেই সময়টি শুধুমাত্র আপনার। সেখানে আর কেউ নেই, নিজেকে একটু এলিয়ে দিন। একানে- নিজেকে নিয়ে ভাবুন। যেমনি করে ভাবে প্রেমিক প্রেমিকাকে। এখানে প্রেমিক আপনার দেহ, প্রেমিকা আপনার মন। নিভৃতে নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকুন। নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কার করুন। নিজের মধ্যে নিজে ডুব দিন দেখবেন আপনি নতুন এক জগতের দিকে যাচ্ছেন। একবার চেষ্টা না হয় করেই দেখুন নিজেকে কত সতেজ এবং ঝরঝরে মনে হয়।
নিজে ভালো থাকুন,
অন্যকে ভালো রাখুন।
এই লেখাটি সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ মেডিটেশন সাইট থেকে কপি করা
0 comments:
Post a Comment