Monday, December 28, 2020

বাড়ন্ত মেয়ের নিরাপত্তা । teenage girl safety

 বাড়ন্ত মেয়ের নিরাপত্তা । teenage girl safety

মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে। শারীরিক পরিবর্তনের পাশাপাশি মনের পরিবর্তনও ঘটছে তার। ওর নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা হওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই ছোট থেকেই মেয়েকে বাস্তবের উপযোগী করে তৈরি করতে উদ্যোগ নিন। আশা করি এই লেখা আপনাদের কিছুটা হলে ও দিক নির্দেশনা দেবে।

আপনার কি করনীয়ঃ

১।একটা বয়সের পরে মেয়েকে বাড়ির সকল পুরুষ থেকেও নিরাপদ দূরত্ব রাখতে শেখান। অনেক বাচ্চা মেয়ে বাড়ির মধ্যেই নিগৃহীত হয় কিন্তু ভয়ে কাউকে বলতে পারে না। বাবা ছাড়া কারও কোলে বেশিক্ষণ বসতে বারণ করুন মেয়েকে।

২। মেয়েকে ওর নিজের নাম, বাসার ঠিকানা, বাবা-মায়ের নাম ও ফোন নাম্বার ভালো করে মুখস্থ করিয়ে দিন। মেলা বা যে কোন ভিড়ে হারিয়ে গেলে তখন এই তথ্যগুলো দারুণ কাজে আসবে ওকে ফিরে পেতে। সব বাচ্চার ক্ষেত্রেই এই পন্থা অবলম্বন করুন।

৩। ছোট্ট বয়স থেকে মেয়েকে সুরক্ষার শিক্ষা দিন । কোন পরিস্থিতি খারাপ, কখন কীভাবে নিজেকে বাঁচাতে হবে এইসব শিখিয়ে দিন মেয়েকে। দেখবেন ও আস্তে আস্তে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে।

৪। ওর যদি কোনও জিনিস ভালো না লাগে বা কারও সঙ্গ পছন্দ না হয় ওকে “না” বলতে শেখান। এ ক্ষেত্রে ভদ্রতার কোন প্রয়োজন নেই।

৫। মা ছাড়া কারও কাছে গোসল করতে দেবেন না। আর যদি আপনি কাজে থাকেন তা হলে দাদী/নানী বা পরিবারের যে মহিলা আপনার খুব কাছের একমাত্র তাদের কাছেই ও গোসল করবে।

৬। গুড টাচ এবং ব্যাড টাচের (bad touch) তফাৎ শেখান ওকে। মা বা খুব কাছের কোনও মহিলা পরিজন ছাড়া ওর ঠোঁট, বুক, নিতম্ব, গোপনাঙ্গ কোনও ভাবেই স্পর্শ করবে না। দরকার হলে ওর প্রিয় পুতুলটাকে নিয়ে গুড টাচ, ব্যাড টাচের (bad touch) পাঠ দিন।

৭। খেয়াল করুন ও বিশেষ কারো কথা বেশী বলছে কি না বা কারো কাছে যেতে চাচ্ছে কি না ।

৮। মেয়েদের ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় একটু বেশি সজাগ। আপনার মেয়েকেও শিখিয়ে দিন নিজের ইন্দ্রিয়ের কথা শোনা। বিপদ আঁচ করলে যেন সে কারো সাহায্য চায় বা ওখান থেকে পালিয়ে যায়। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।

৯। মেয়ের বন্ধু হয়ে উঠুন। প্রত্যেকদিনের গল্প যাতে আপনাকে খোলাখুলি বলে, সেই জায়গা তৈরি করুন।

১০। বাবা, মা এবং পরিবারের কিছু মানুষ ছাড়া ও যেন কাউকেই বিশ্বাস না করে। যেমন কেউ বললো আপনি/ ওর বাবা ওকে নিয়ে যেতে পাঠিয়েছেন অথবা মা হাসপাতালে--ও যেন এসব বিশ্বাস না করে।

১১। গল্প শুনিয়ে ওকে আশেপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা দিন। খারাপ পরিস্থিতি দেখলে কী করা উচিত; ওকে বুঝিয়ে দিন;গল্পের ছলে।

১২। সতর্ক থাকতে শেখান। চোখ-কান খোলা রাখলে অনেক বিপদ এড়ানো যায়; সেটাই শিখিয়ে দিন ওকে। সন্ধ্যার পর কোথাও একা না যাওয়া,ফাঁকা রাস্তা, অন্ধকার গলি এড়িয়ে চলা ইত্যাদি।

১৩। বড় হওয়ার ধাপগুলো ধীরে ধীরে বুঝিয়ে দিন মেয়েকে। অত্যধিক শাসনে রাখবেন না তবে ওর প্রতিদিনের কাজের হিসেব নেবেন।

১৪। ইসলাম ধর্ম নারীদের নিরাপত্তা দানের ক্ষেত্রে সর্বশ্রেষ্ঠ। শিশুকাল থেকেই তাকে নামাজ, রোজা, পর্দায় অভ্যস্ত করা গেলে,অনেক টা নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। শিশুর নৈতিক মূল্যবোধ সম্বন্ধে জানতে ক্লিক করুন এখানে

১৫। শুধু নাচ, গান, বই নয়; মেয়েকে ক্যারাটে-কুংফুর ক্লাসেও ভর্তি করা পারেন। নিজের নিরাপত্তা সে নিজেই সুনিশ্চিত করতে পারবে ।

জেনে রাখুনঃ

১। মা-বাবার সম্পর্ক, সন্তানের সাথে মা-বাবার সম্পর্কের গভীরতা—এগুলো ভীষন ভাবে প্রভাবিত করে শিশুকে। তাছাড়া শিশুকে যা শেখানো হবে, সে ঐ রকম মানসিকতাতেই বেড়ে উঠবে। কারন পরিবেশের প্রভাব কেউ এড়াতে পারে না।

২। মেয়ে যেন সবকিছু আপনাকে মন খুলে বলে, কিছু যেন আপনার থেকে চেপে না যায়।


Copied

https://bn.quora.com/q/sisudera-jagat 

0 comments:

Post a Comment

Throne