Monday, August 15, 2022

সহজে পড়া মুখস্ত করার ‍উপায়

 দুই দিন আগে কি পড়েছিলেন ভুলে গেছেন। কিন্তু গত ঈদে কই নামাজ পড়েছিলেন, কয়েক বছর আগে এসএসসি রেজাল্টের সময় কই ছিলেন, ঠিকই মনে আছে। তারমানে আপনার পড়ালেখা মনে না থাকলেও, বাকি সব ঠিকই মনে থাকে। তাই বাকি সব মনে রাখার স্টাইলে খুব সহজেই পড়ালেখা মনে রাখতে পারবেন-

01: আগ্রহ নিয়ে খালি মাথায় পড়তে বসুন: খেলা, মুভি দেখার জন্য আপনি যেমন আগ্রহ নিয়ে, জিতার আশা নিয়ে বসো। পড়ার সময়ও একইভাবে, নিজের ভিতর থেকে আগ্রহ নিয়ে, পড়া কঠিন, মনে থাকে না, বুঝি না- এইসব ভুলে, খালি মাথা নিয়ে বসতে হবে। সেই জন্য ভোরে উঠে পড়তে বসলে মাথা ক্লিন থাকে এবং পড়া দ্রুত মাথায় ঢুকে।
02: ছোট ছোট অংশে ভাগ করে পড়ুন: খুব সিম্পল একটা উদাহরণ দেই। ধরুন আপনার একটা ফোন নাম্বার মনে রাখা দরকার। এখন ০১৭১৭৬৫৩৯২২ পুরাটা একসাথে পড়লে দুই মিনিট পরেই ভুলে যাবা। তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে ০১৭১৭ – ৬৫৩ – ৯২২ স্টাইলে পড়ুন। পড়ার সময় চিন্তা করুন- “০১৭১৭ (আধা সেকেন্ড দম নিয়ে) ৬৫৩ (আধা সেকেন্ড দম নিয়ে) ৯২২”, তাহলে মনে রাখা সহজ হবে। এরপর নাম্বারটা ব্রেইনে সেট করার টার্গেট নিয়ে খেয়াল করে করে তিনবার পড়ুন। দুইবার না দেখে কাগজে লিখুন। দেখবেন এক মাসেও এই নাম্বার ভুলবেন না। শুধু ফোন নাম্বার না, বড় সাইজের প্রকারভেদ, ব্যবসায় নীতি, বিশাল প্রমাণ এই সিস্টেমে ভাগ ভাগ করে পড়ুন।

৩. কীভাবে মুখস্ত করবেন?

পড়া মুখস্ত করার অসাধারণ কিছু কৌশল
পড়া মুখস্ত করার অসাধারণ কিছু কৌশল

যেকোন বই বা কোন পড়া মুখস্ত করার সময় তিনটি ধাপ মনে রাখতে হবে। যথা:

  • মুখস্ত করা
  • স্মৃতিতে ধারণ করা
  • পুনরায় মনে করা

যে কোন পড়া মুখস্ত করার পর সেটা স্মৃতিতে জমা হয়। এরপর আমরা সেটা ততক্ষণ পর্যন্ত আর মনে করার চেষ্টা করি না, যতক্ষন সেটা আবার দরকার হয়।

তাহলে আমরা কিভাবে ভাবি যে যখন তখন আমরা কোন একটা বিষয় মনে করার চেষ্টা করব আর সেটা জাদুবলে মনে হয়ে যাবে! যে কোন জিনিস একবার পড়ার পর সেটা বারবার মনে করতে হবে। উপরোক্ত তিনটি পন্থা যদি অবলম্বন করা হয় তাহলে খুব সহজেই পড়া মনে থাকবে


৪.

বার বার মনে করা বা পুনরাবৃত্তি করা

কোন একটা জিনিস মনে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তা বার বার মনে করা। যে কোন জিনিস পড়ার পর তা পুনরায় পড়ে পড়ে মনে রাখতে হবে। একটা টপিক পাঠ করার পর তার সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়গুলোও পড়তে হবে। তাহলে, সেই জিনিটা বেশি মনে থাকব।

যেমন আমি যদি পড়ি ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। শুধু এটুকু পড়লে আমার পড়া শেষ হবার কিছুক্ষণ পরেই সেটা আমি ভুলে যেতে পারি। এর জন্য আমাকে অবশ্যই বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য জান্্েতে হ্েবে.

: নিজেই নিজের টিচার হয়ে যাও: ক্লাসের বন্ধুদের সাথে আড্ডায় পড়ালেখার টপিক নিয়ে আলোচনা করুন। কোন কিছু পড়া শুরু করার আগে কোন ফ্রেন্ডের কাছ থেকে বুঝে নিতে পারলে- পড়া বুঝা ও মনে রাখা অনেক সহজ এবং দ্রুত হয়। আর ফ্রেন্ড খুঁজে না পাইলে নিজেই নিজের টিচার হয়ে নিজেকে কোন জিনিস বুঝানোর চেষ্টা করুন। কারো কাছে পড়া বুঝতে গেলে তার কাছে ১ ঘন্টার বেশি থাকবা না। আপনি কাউকে পড়া বুঝাতে গেলে গেলে, ১ ঘন্টার বেশি সময় দিবা না



মানুষের মস্তিষ্কের দুটি দিক রয়েছে। একটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমঅন্যটি পেরিফেরাল নার্ভাস সিস্টেম। সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমের আবার অনেক ভাগ। এর সঙ্গে রয়েছে নানা রকম কাজ। তার একটি হলো মেমোরি বা স্মৃতিশক্তি।

সবার স্মৃতিশক্তি এক নয়। যে সকল ছাত্ররা কোন একটি নতুন কনসেপ্ট খুব সহজেই উপলব্ধি করতে পারে কিংবা অল্প সময়ে মুখস্থ করতে পারে এবং এটির যথার্থ প্রয়োগ করতে পারে অবশ্যই এটি তাদের জন্য একটি বড় প্লাস পয়েন্ট।


বইয়ের পিছনে সামারি লিস্ট: প্রায় সব বইয়ের পিছনেই দুই-এক পাতা সাদা পৃষ্ঠা থাকে। আর না থাকলে স্কচ-টেপ বা পিন দিয়ে লাগিয়ে নিবা। তারপর যে জিনিসগুলা ভুলে যাওয়ার চান্স বেশি বা পরে ভালো করে রিভিশন না দিলে পরীক্ষার হলে লিখতে পারবেন না- সেগুলা পেইজ নাম্বার সহ বইয়ের পিছনের সাদা কাগজে লিখে রাখবা। যাতে ৩-৪ ঘন্টা রিভিশন দেয়ার সুযোগ পাইলে, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলা পৃষ্ঠা নম্বর দিয়ে খুব সহজেই খুঁজে বের করে রিভিশন দিতে পারো।


0 comments:

Post a Comment