
কেমন আছেন আপনি ?
নিশ্চয় উত্তর দিবেন
এই মোটামুটি আছি আর কি
অথবা বলবেন-
চলে যাচ্ছে এই তো।
এই উত্তর কিন’ ঠিক হলো না।
অবশ্য এ ভাবেই আমরা উত্তর দিতে অভ্যস- হয়ে পরেছি।
বাবা, মা, ভাই, বোন, পাড়া প্রতিবেশীদের কাছ থেকে এভাবেই আমরা শিখেছি।
আমাদের বলার কিছু নেই।
আমরা বা আপনি কেমন আছি তা নির্ভর করবে
প্রধানত
আপনার আমার মন মানসিকতার উপর। একটি শিশুকে যদি বছরের পর বছর ধরে জঙ্গলের পরিবেশে রেখে দেয়া হয় তাহলে দেখা যাবে যে, ঐ শিশু ক্রমেই বড় হচ্ছে এবং পশু প্রাণীর আচরণ রপ্ত করতে থাকছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে মানুষ তার আশে পাশের পরিবেশ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে। শুধু তাই নয় অভ্যাস ও তৈরি হয় অর্থাৎ মানুষের চরিত্র গঠন হয়। এটাই হলো সৃষ্টি জগতের নিয়ম। স্রষ্টা মানুষকে এই গুণাবলী দিয়ে তৈরি করেছেন। স্রষ্টা মানুষকে সরাসরি কিছু দেন না। স্রষ্টা কোনো মাধ্যমের মধ্য দিয়ে মানুষকে দিয়ে থাকেন। যেমন চিন-া একটি মাধ্যম। মানুষ তার জীবনে চিন-াকে ব্যবহার করে জীবনে উন্নতি করে থাকে। আপনি যা চিন-া করবেন তাই আপনার বিশ্বাসের মধ্য থাকতে হবে।
প্রথমেই যা বলেছিলাম,
আপনাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হবে,
কেমন আছেন?
তখন মোটামুটি বা এই চলে যাচ্ছে
এভাবে বলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
প্রতিদিন যদি এভাবে বলতে থাকেন, তাহলে একদিন দেখবেন যে, আপনার জীবন মোটামুটির মধ্য থেকেই চলে যাচ্ছে। আপনি প্রতিদিন যা বলবে, আপনার অবচেতন মন তাই ধারন করে নেবে
এবং
আপনার জীবনে তাই ঘটবে।
তাহলে আমাদের কী বলতে হবে?
মোটামুটি আছি, কেটে যাচ্ছে না বলে বলতে হবে-ভালো আছি। ভালো আছি বলাটা অভ্যাস করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, হাত মুখ ধুয়ে আসনে বসুন, আসন বলতে কি বুঝি, তা নিশ্চয়ই বোঝেন, তবুও বলছি। মেরুদণ্ড সোজা করে চেয়ারে অথবা মেঝেতে আরাম করে বসাকেই আসন বলে। তারপর চোখ বন্ধ করে গভীর ভাবে তিনবার শ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়-ন, তারপর মনে মনে বলতে থাকুন ভালো আছি, আপনার যতক্ষণ ইচ্ছা হয় বলতে থাকুন।
তারপর ধীরে ধীরে চোখ খুলে স্বাভাবিক হোন।
নিজে ভালো থাকুন,
অন্যকে ভালো রাখুন।
এই লেখাটি সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ মেডিটেশন সাইট থেকে কপি করা
0 comments:
Post a Comment