Tuesday, April 3, 2018

Meditation and positive thinking

মেডিটেশন ও পজেটিভ চিন-া


Meditation and positive thinking

কেমন আছেন ?
নিশ্চয় বলবেন ভালো আছি।
কারণ আমরা সকলেই ভালো থাকতে চাই।

এর আগে আমরা কীভাবে মেডিটেশনের মাধ্যমে ভালো থাকতে পারি তা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। জীবন ধারনের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন সবার এ জন্য এ কথাটি সত্য। উদ্ভিদের যেমন খাদ্যের প্রয়োজন, প্রাণীরও ঠিক তেমনি। মানুষের জন্য যে খাদ্যের প্রয়োজন তাতো নিজেরাই বুঝি। মানুষের দেহের জন্য খাদ্যের প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ভাবে মনের জন্যও খাদ্যের প্রয়োজন। পচা বাসি খাবার খেলে শরীর যেমন অসুস’ হয় ঠিক তেমনি ভাবে পচা বাসি অর্থাৎ খারাপ চিন-া করলে মন অসুস’ হয়। পজেটিভ চিন-া মনকে সুস’ রাখে, নেগেটিভ চিন-া মনকে অসুস’ রাখে। প্রতিদিন নেগেটিভ চিন-া করলে দেখবেন, একদিন সত্যি সত্যি অসুস’ হয়ে পরেছেন। প্রতিদিন যদি পজেটিভ চিন-া করেন একদিন উপলব্ধি হবে যে, আপনি আসলেই একজন সুখী মানুষ।

যারা দিনের বেশিরভাগ সময় নেগেটিভ চিন-া বেশি করে তাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাধে যেমন- টেনশন, ডিপ্রেশন, খিটখিটে মেজাজ, গ্যাসট্রিক, ডায়বেটিস ইত্যাদি।

বর্তমান বস’বাদি সমাজ ব্যবস’ায় মানুষের মাঝে নেতিবাচক অর্থাৎ নেগেটিভ দানা বাধা স্বাভাবিক কিন’ মানুষ এটাও বোঝে যে নেতিবাচক চিন-া শরীর ও মনের উপর খারাপ প্রভাব বিস-ার করে। নেতিবাচক চিন-া দূর করার সহজতম পদ্ধতি হচ্ছে মেডিটেশন। তাই সারা বিশ্বে মেডিটেশন বা ধ্যান এত জনপ্রিয়।

এক কথায় পজেটিভ চিন-া বলতে আমরা বুঝি জীবনের সব কিছুকে পজেটিভ দৃষ্টিকোন থেকে দেখা। পজেটিভ দৃষ্টিভঙ্গিও মানুষ সবকিছু সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে, দৃষ্টিভঙ্গি উদার হয়, আত্মবিশ্বাস বাড়ে। নেগেটিভ চিন-ার মানুষ অহংকারী হয়, সব কিছুর মধ্যে ভুল ত্রুটি খুঁজে বেড়ায়, নেগেটিভ দিকগুলোকে প্রাধান্য দেয় বেশি।

সফল মানুষের জীবনী পড়লে দেখা যায় যে, এঁরা সব সময় জীবনের নেতিবাচক দিকগুলোকে বা দৃষ্টিভঙ্গিকে ইতিবাচক দিকে পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন।
নির্দিষ্ট একটি সময়,
সকাল, বিকাল বা রাত যখনই হোক-
আপনি আসনে বসেন।
চোখ বন্ধ রাখুন।
গভীরভাবে তিন বার শ্বাস নিন
এবং
ছাড়তে থাকুন ধীরে ধীরে।
খেয়াল করেন আপনার শরীর ও মন হালকা হয়ে আসছে।
রিলাক্স হচ্ছেন আপনি।
এবার আপনি আপনার জীবনে অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো পজেটিভ ঘটনাকে মনে মনে কল্পনা করতে থাকেন
এবং
ভাবেন যে ঐ পজেটিভ ঘটনার মতো আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পজেটিভ হয়ে উঠছে।
মেডিটিভ বা ধ্যানস’ অবস’া আপনি ইচ্ছা করলে শ্রুতিমধুর কোনো ইঅঈকএজঙটঘউ গটঝওঈ ব্যবহার করতে পারেন।
আজকে এখানেই শেষ করছি, আবার কথা হবে।

নিজে ভালো থাকুন,
অন্যকে ভালো রাখুন।

এই লেখাটি সম্পূর্ণ ক্রিয়েটিভ মেডিটেশন সাইট থেকে কপি করা

0 comments:

Post a Comment