অনেকের সন্তান হওয়ার পর স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণ কী
অনেকের সন্তান হওয়ার পর স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণ কী? একটি গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। একদিন এক শিক্ষক অথবা এক ব্যক্তি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে একটি সভা করছিলেন। তো তিনি চারদিকে তাকিয়ে একটু দম নিয়ে বলা শুরু করলেন - আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। জীবন ঘনিষ্ট বিষয় নিয়ে। পিন পতন নিরবতা। সবার দিকে তাকিয়ে সামনের বেঞ্চে বসা একজনকে বললেন মা জননি আপনার তো বিয়ে হয়েছে। মহিলা বললো হা। আপনার কোন সন্তান আছে মহিলা বললো হ্যা একটি সন্তান আছে। তো ঐ লোক মহিলাকে ব্লাকবোর্ডের দিকে যেতে বললেন। তো মহিলা বোডের কাছে গেলেন এবং প্রশিক্ষক বললেন মা জননি আপনি চক পেন্সিল নিন এবং আপনার সবচেয়ে প্রিয় এবং পছন্দের লোকদের তালিকা তৈরি করুন। তো মহিলা বাবা মা সন্তান স্বামী বন্ধু বান্ধব এভাবে সব মিলে 15 জনের একটি লিস্ট তৈরি করলেন। এবার শিক্ষক সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললেন এই পয়েন্টটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনারা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। তো সবাই গভীর মনোযোগ দিল। এবার শিক্ষক বললেন মা জননী এখান থেকে আপনি 5 জনকে মুছে ফেলুন। তো মহিলা ওখান থেকে বন্ধুদের লিস্ট দেখে তাদের সাথে একটু কম সম্পর্ক বা মাঝে মাঝে দেখা হয় কিন্তু ছোটকাল থেকে এক সাথে পড়ালেখা করেছে তাদের নাম নির্দি ধায় মুছে ফেললেন। তো থাকলো 10 জন। শিক্ষক দশ জন থেকে 4 জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। তো তিনি এবার একটু চিন্তায় পড়েগেলেন। তারপরও তার প্রিয় বন্ধু বান্ধবদের নাম মুছে ফেললেন। এবার থাকলো 6 জন মা+বাবা+ভাই+বোন+স্বামী+সন্তান। এখন এখান থেকে দুই জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। এবার তিনি ঘেমে গেলেন এবং কার নাম মুছবেন চিন্তা করছিলেন। আর দেরি করছিলেন। পিছন থেকে শিক্ষক বললেন এটা একটা খেলা তাই আপনি ভয় পাবেন না এটা বাস্তব না। আপনি মুছে ফেলুন। তো মহিলা সেখান থেকে ভাই+বোন এর নাম মুছে ফেললেন। এরপর সেখান থেকে আরো 02 জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। এবার মহিলার হাত কাপা শুরু হলো এবং কান্না এসে যাচ্ছিল। তারপরও পিছন থেকে শিক্ষকের ডাকে কাপা কাপা হাতে মহিলা বাবা+মার নাম মুছে ফেললেন। এরপর শিক্ষক একজনের নাম মুছতে বললেন মহিলা এবার সত্যি সত্যি কেঁদে দিলেন। এবং হাত থেকে চক পেন্সিল পড়ে গেল। তো শিক্ষক অভয় দিলেন এটা বাস্তব নয় এটা একটা গেম এবং চক পেন্সিলটা তুলে দিলেন। এবার মহিলা কাঁদতে কাঁদতে তার ছেলের নামটা কেটে দিলেন। তো থাকলো শুধু তাঁর স্বামী। স্বামী। হা এটাই বাস্তব। আপনার সন্তান একসময় বিয়ে করবে। সে আলাদা হয়ে থাকবে বা আপনাদের সাথেই থাকলো কিন্তু সে আপনার দেখবাল করতে পারবে না। আপনাকে হয়তো টাকা দিবে না আপনার উন্নত চিকিৎসা বা পত্থের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনার সুখ দুঃখ আপনি স্বামীর সাথেই ভাগ করবেন। সেই আপনাকে সব বিষয়ে সহযোগিতা করবে। আপনি তার পরিপূরক এবং সে আপনার পরিপূরক। এবার আসি আসল কথায়। সন্তান হওয়ার পর সন্তানকে নিয়েই এত ব্যস্ত থাকেন যে আপনার স্বামী বেচারাকে তেমন কোন খোজ খবর রাখেন না। না রাখারই কথা কারণ সন্তান লালন পালন করতে যে ঝামেলা তা শুধু মাই জানে। তার পরও যে স্বামীকে সন্তান হওয়ার আগে 5/7 বার বলতে আমি তোমাকে ভালো বাসি আজ তার কোন খোজ খবর নেন না। বা তার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। হা সন্তান মাসুম বাচ্চা। পৃথিবীতে এসেছে। আপনার স্বামীও আপনার সাথে সমানভাবে তাকে ভালোবাসবে। এটাই বাস্তব এবং বাসেও। কিন্তু আপনি যদি এর ফাকে আপনার স্বামীকে একটু আধটু ভালোবাসার কথা না বলেন বা উভয় উভয়ের খোজ খবর না রাখেন তাহলে দেখবেন সে আপনার সাথে এবং সন্তানের সাথে ঠিকই তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝখানে পরকিয়া বা অন্যমেয়েদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এটাই বাস্তব এবং আমার জানামতে এটাই হয়ে আসছে। অনেককেই দেখেছি সন্তান হওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর মাঝে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। তাই আমার নিজের মতামত হলো সন্তান লালন পালনের ফাকে স্বামীকে বলুন তুমি কেমন আছে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার কাজ বা অফিস কেমন যাচ্ছে ইত্যাদি। এমনিই তো সে আপনাদের প্রতি মনোযোগী তারপরও আরো মনোযোগী হবে। তাছাড়াআর একটি নতুন জীবনের আগমন মানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের অনেক খচর । এগুলো সহ সংসারের খরচ যোগার করা স্বামী বেচারীর সত্যিই অনেক হিমসিম খেতে হয়। তাই তাকে সন্তানের পাশাপাশি একটু ভালোবাসুন দেখবেন সংসার ভাঙ্গবে না। সুখে থাকুন। ভালো থাকুন।
অনেকের সন্তান হওয়ার পর স্বামীর সাথে সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণ কী? একটি গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। একদিন এক শিক্ষক অথবা এক ব্যক্তি বিবাহিত মহিলাদের নিয়ে একটি সভা করছিলেন। তো তিনি চারদিকে তাকিয়ে একটু দম নিয়ে বলা শুরু করলেন - আজকে একটি গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। জীবন ঘনিষ্ট বিষয় নিয়ে। পিন পতন নিরবতা। সবার দিকে তাকিয়ে সামনের বেঞ্চে বসা একজনকে বললেন মা জননি আপনার তো বিয়ে হয়েছে। মহিলা বললো হা। আপনার কোন সন্তান আছে মহিলা বললো হ্যা একটি সন্তান আছে। তো ঐ লোক মহিলাকে ব্লাকবোর্ডের দিকে যেতে বললেন। তো মহিলা বোডের কাছে গেলেন এবং প্রশিক্ষক বললেন মা জননি আপনি চক পেন্সিল নিন এবং আপনার সবচেয়ে প্রিয় এবং পছন্দের লোকদের তালিকা তৈরি করুন। তো মহিলা বাবা মা সন্তান স্বামী বন্ধু বান্ধব এভাবে সব মিলে 15 জনের একটি লিস্ট তৈরি করলেন। এবার শিক্ষক সবাইকে উদ্দেশ্যে করে বললেন এই পয়েন্টটি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ আপনারা মনোযোগ দিয়ে শুনবেন। তো সবাই গভীর মনোযোগ দিল। এবার শিক্ষক বললেন মা জননী এখান থেকে আপনি 5 জনকে মুছে ফেলুন। তো মহিলা ওখান থেকে বন্ধুদের লিস্ট দেখে তাদের সাথে একটু কম সম্পর্ক বা মাঝে মাঝে দেখা হয় কিন্তু ছোটকাল থেকে এক সাথে পড়ালেখা করেছে তাদের নাম নির্দি ধায় মুছে ফেললেন। তো থাকলো 10 জন। শিক্ষক দশ জন থেকে 4 জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। তো তিনি এবার একটু চিন্তায় পড়েগেলেন। তারপরও তার প্রিয় বন্ধু বান্ধবদের নাম মুছে ফেললেন। এবার থাকলো 6 জন মা+বাবা+ভাই+বোন+স্বামী+সন্তান। এখন এখান থেকে দুই জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। এবার তিনি ঘেমে গেলেন এবং কার নাম মুছবেন চিন্তা করছিলেন। আর দেরি করছিলেন। পিছন থেকে শিক্ষক বললেন এটা একটা খেলা তাই আপনি ভয় পাবেন না এটা বাস্তব না। আপনি মুছে ফেলুন। তো মহিলা সেখান থেকে ভাই+বোন এর নাম মুছে ফেললেন। এরপর সেখান থেকে আরো 02 জনের নাম মুছে ফেলতে বললেন। এবার মহিলার হাত কাপা শুরু হলো এবং কান্না এসে যাচ্ছিল। তারপরও পিছন থেকে শিক্ষকের ডাকে কাপা কাপা হাতে মহিলা বাবা+মার নাম মুছে ফেললেন। এরপর শিক্ষক একজনের নাম মুছতে বললেন মহিলা এবার সত্যি সত্যি কেঁদে দিলেন। এবং হাত থেকে চক পেন্সিল পড়ে গেল। তো শিক্ষক অভয় দিলেন এটা বাস্তব নয় এটা একটা গেম এবং চক পেন্সিলটা তুলে দিলেন। এবার মহিলা কাঁদতে কাঁদতে তার ছেলের নামটা কেটে দিলেন। তো থাকলো শুধু তাঁর স্বামী। স্বামী। হা এটাই বাস্তব। আপনার সন্তান একসময় বিয়ে করবে। সে আলাদা হয়ে থাকবে বা আপনাদের সাথেই থাকলো কিন্তু সে আপনার দেখবাল করতে পারবে না। আপনাকে হয়তো টাকা দিবে না আপনার উন্নত চিকিৎসা বা পত্থের ব্যবস্থা করবে। কিন্তু আপনার সুখ দুঃখ আপনি স্বামীর সাথেই ভাগ করবেন। সেই আপনাকে সব বিষয়ে সহযোগিতা করবে। আপনি তার পরিপূরক এবং সে আপনার পরিপূরক। এবার আসি আসল কথায়। সন্তান হওয়ার পর সন্তানকে নিয়েই এত ব্যস্ত থাকেন যে আপনার স্বামী বেচারাকে তেমন কোন খোজ খবর রাখেন না। না রাখারই কথা কারণ সন্তান লালন পালন করতে যে ঝামেলা তা শুধু মাই জানে। তার পরও যে স্বামীকে সন্তান হওয়ার আগে 5/7 বার বলতে আমি তোমাকে ভালো বাসি আজ তার কোন খোজ খবর নেন না। বা তার প্রতি কোন মনোযোগ নেই। হা সন্তান মাসুম বাচ্চা। পৃথিবীতে এসেছে। আপনার স্বামীও আপনার সাথে সমানভাবে তাকে ভালোবাসবে। এটাই বাস্তব এবং বাসেও। কিন্তু আপনি যদি এর ফাকে আপনার স্বামীকে একটু আধটু ভালোবাসার কথা না বলেন বা উভয় উভয়ের খোজ খবর না রাখেন তাহলে দেখবেন সে আপনার সাথে এবং সন্তানের সাথে ঠিকই তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝখানে পরকিয়া বা অন্যমেয়েদের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছে। এটাই বাস্তব এবং আমার জানামতে এটাই হয়ে আসছে। অনেককেই দেখেছি সন্তান হওয়ার পর স্বামী স্ত্রীর মাঝে বৈষম্য দেখা দিয়েছে। তাই আমার নিজের মতামত হলো সন্তান লালন পালনের ফাকে স্বামীকে বলুন তুমি কেমন আছে। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তোমার কাজ বা অফিস কেমন যাচ্ছে ইত্যাদি। এমনিই তো সে আপনাদের প্রতি মনোযোগী তারপরও আরো মনোযোগী হবে। তাছাড়াআর একটি নতুন জীবনের আগমন মানে কিন্তু বিভিন্ন ধরনের অনেক খচর । এগুলো সহ সংসারের খরচ যোগার করা স্বামী বেচারীর সত্যিই অনেক হিমসিম খেতে হয়। তাই তাকে সন্তানের পাশাপাশি একটু ভালোবাসুন দেখবেন সংসার ভাঙ্গবে না। সুখে থাকুন। ভালো থাকুন।
0 comments:
Post a Comment