কেস স্ট্যাডি: বিয়ের আগে প্রেম, ভালো বাসা, শারিরীক সম্পর্ক
টপিকটা খুবই গুরুত্বপূর্ মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। যদিও সরাসরি লেখা হয়েছে। এটা এডাল্ট টপিক ও ধরতে পারেন। তবে বর্তমান সমাজের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ:
আজকে আপনাদের একটি বিষয়ে বলতে চাচ্ছি। যারা গার্ডিয়ান তারা আপনাদের সন্তানদের না বালক থেকে সাবালকে উপনীত হওয়ার সাথে সাথে িএই বিষয়গুলো শিক্ষা দিন। সে ছেলে হউক বা মেয়ে হউক। কারণ আপনার মেয়ে বা ছেলে যদি কোন অপকর্ম করে সেটার দায়ভার আপনাকে বহন করতে হবে। তা এহকাল বা পরেকাল উভয় কালেই। বিষয়টা একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি।
গল্প:
একটি মেয়ে বিয়ের আগে লেখাপড়া করার সময় এক ছেলের সাথে গভীর প্রেম করতো। ছেলেটির সাথে মেয়েদি নিয়মিত দেখা শোণা, ম্যাসেঞ্জারে চেটিং, ফোনে কথা বলায় এতই আবেগজড়িত হয়ে পড়েছিল যেন আগ পাছ কিছুই ভাবতে পারছিল না। তো বেশ কিছু দিন যাওয়ার পর ছেলেটি মেয়েকে প্রথম স্পর্শ করে। মেয়েটি প্রথমে কিছুই বলেনে এরপর হাতে হাত রেখে হাটে উভয় জনেরই ভালো লাগে। তারপর কোন একদিন হঠাৎ করে ছেলেটি মেয়ের গালে চুম্বা দেয়। এতে মেয়েটি একটি কপট রাগ দেখায়। তারপর আর কিন্তু কিছুই বলে না। তাই ছেলেটি হা বোধক সংকেত পেয়ে এখন প্রয়ই মেয়েটিকে চুমা দেয়। তারপর একদিন ছেলেটি মেয়েকে জড়িয়ে ধরার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু মেয়েটি রাজী হয়না। ছেলেটি অভিমান করে বলে তাহলে মেয়েটি তাকে ভালো বাসেনা। এরই মধ্যে আসে হাগ ডে। মেয়েকে ছেলেটি নির্জন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যায় এবং অনেক সময় কথা বলে এবং ঐ দিন ছিল হাগ ডে। তো ছেলেটি মেয়েকে জড়িয়ে ধরার কথা বলে কিন্তু মেয়েটি আশে পাশে একটু খেয়াল করে ভাবলো কেউতো দেখছে না তাই সে রাজী হয়ে যায়। এই প্রথম ছেলেটি মেয়েকে গভীরভাবে জড়িয়ে ধরে হাগ দেয় সাথে লিপ কিসও করে এবং তার বুকে স্পর্শ করে। এরপর থেকে অনেকবারই জড়িয়ে ধরে। এরই মধ্যে 02টি বছর কেটে যায়। এবার ছেলেটি মেয়েকে বলে দেখ আমরা 02 বছর প্রেম করেছি তোমাকে বিয়ে করবো আর এই 02 বছরে তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করছো না । মেয়েটি বলে হা বিশ্বাস করেছি। ছেলে বলে তাহলে চলো আমরা সেক্স করি। মেয়েটি প্রথমে বেশ কিছু দিন রাজী হয়নি। কিন্তু এই নিয়ে মান অভিমান চলতে থাকে। পরে মান অভিমান ভাঙ্গাতে মেয়েটি ছেলের সাথে সেক্স করে। তো এই সেক্স এর কথা যে কোন ভাবে ফ্লাস হয়ে যায়। এর খবর মেয়েটির বাবা মাও জানতে পারে। তারপর মেয়েটি ছেলেকে বিয়ের কথা বললে বলে আমি এখনও কোন চাকরি করি না বা কিছু করি না। তুমি একটু তোমার বাবা মাকে বোঝায় আর 2/3 বছর পর আমরা বিয়ে করবো। এদিকে মেয়ের বাবা মার পাড়ায় থাকা দায় হয়ে পড়েছে। তাই তড়িঘড়ি করে গোপনে সহজ সরল ছেলের সাথে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে দেয়। ছেলেটি যদিও সহজ সরল তারপরও এতটুকু বুঝতে পারে যে বাসর রাতে মেয়েদের বিশেষ রক্ত বের হওয়ার কথা, রক্ত বের না হলেও টাইট থাকার কথা টাইট না থাকলেও এত লুজ 3 আঙ্গুল পর্যন্ত লুজ হওয়ার কথা না। তো মেয়েকে বললে সে প্রথমে বলে এভাবেই থাকে। তারপর চাপাচাপিতে বলে বিয়ের আগে বেগুন ব্যবহার করেছে। সহজ সরল ছেলেটি মেনে নেয়। কিন্তু কিছু দিন যাওয়ার পরে মানুষের কাছ থেকে আসল সত্যটি জেনে যায়। এবং এরই মধ্যে চালাক মেয়েটি সন্তান নিয়ে নেয়। যদিও আসল সত্যিটি জানার পরও ছেলেটি তার সন্তানের দিকে চেয়ে কোন ব্যবস্থাই নিতে পারছেনা কিন্তু সংসারের প্রতি ছেলেটির কোন মায়াই আর হচ্ছে না।
তাই এই টপিকটি যদি কোন ভাই পড়েন তাহলে দয়া করে আল্লাহ/ ঈশ্বরের দোহাই কোন মেয়েকে কখনও ক্ষতি করবেন না। আর যদিও ক্ষতি করে থাকেন আল্লাহ/ ঈশ্বরের দোহাই যে কোন মূল্যে বিয়ে করে ফেলবেন।
আর যদি কোন অভিভাবক পড়েন তাহলে তারা আপনাদের ছেলে-মেয়েকে সাবালক হওয়ার সাথে সাথেই বুঝাবেন যে, সে যেন কখন বেগুন, শষা বা এ জাতীয় কোন বস্তু দিয়ে মৈথুন না করে। এবং কেন করবে না তাও বুঝিয়ে দিবেন যে সংসারে অশান্তি হবে।
আর যদি কোন বোন পড়েন তাহলে আল্লাহ/ ঈশ্বরের দোহাই কখনও বিয়ের আগে যৌন সঙ্গম বা শারীরিক সম্পরে্ জড়াবেন না। তা সেক্স বা গায়ে / বুকে হাত দেয়া সহ যে কোন শারীরিক সম্পরে। তাকে বলুন তুমি যদি চাও তাহলে আগে বিয়ে কর তারপর এগুলো কর। দেখবেন সে কেটে পড়েছে।
* তাই বিয়ে আগে কোন সেক্স নয়।
* আর যেটায় কাম থাকে সেটা প্রেম নয়।
0 comments:
Post a Comment