Saturday, March 7, 2020

Case Study_Sex_Guardian Awareness

আজকের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ: আজকের বিষয়টি হলো অভিভাবক হিসেবে সন্তানের সেক্সুয়াল হ্যারাজমেন্ট বা যৌন হয়রানীমূলক কেস স্ট্যাডি:

একটি  মেয়ে সন্তান হয়ে জন্মানো এ সমাজের বাবা মার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং বিষয়। মেয়েটি বড় হলে পদে পদে হ্যারাজমেন্ট। কেই কোলে নিয়ে বুক টিপে, নিচে হাত দেয়। একটু বড় হলে রাস্তার ছেলেরা বিভিন্ন কথা বলে। স্কুলে গেলে যাওয়া আসার পথে, ছাত্র দ্বারা, এমনকি শিক্ষক পর্যন্তও যৌন হয়রানী করে থাকেন। তো আজকের গল্প সে রকম একটি বাস্তব গল্প:

গল্প:
একটি মেয়ে বিভিন্ন ভাবে উৎরিয়ে অনার্স ফাস্ট ইয়ারে ভর্তি হয়। যেহেতু আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। তাই নিজেকেই নোট তৈরি। বেশি করে লেখাপড়া করে লেখাপড়াটি চালিয়ে যেতে হয়। আর তার কলেজ অনেক দূরে হওয়ায় প্রাইভেট এবং কলেজের ক্লাসের জন্য তাকে প্রায়ই ভোর ভোর সময়ে রওনা দিতে হতো। তো কিছু দিন যাওয়ার পর এক দুষ্ট লোক এ বিষয়ে খেয়াল করে এবং সেও প্রাত ভ্রমন বলে প্রায়ই জগিং করতে বের হয়। এভাবে কয়েকদিন যাওয়ার পর সে যখন একা বিষয়টি ম্যানেজ করতে না পারে তখন তার ক্যাটাগীর আরো কয়েকজন (3/4) কে যোগাড় করে এবং একটি বাড়ী ঠিক করে।  এরপর যখন মেয়েটি সকালে বের হয়। তারা মেয়েটিকে জোর করে ঐ বাড়ীতে নিয়ে পালাক্রমে নির্জাতন করে  এবং যেহেতু মেয়েটি গরীব তাই ঐ বিষয়টি সয়ে যায় এবং নিজের থেকে কাউকে কিছু বলে না। কিন্তু ঐ দুষ্টু লোকগুলো তো পাড়ায় বলে বেড়ায়। এরপর তার স্যার তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতে থাকে। যেমন বই দিয়ে। নোট দিয়ে। পরীক্ষার খাতায় নিজে লিখে দিয়ে।  মোবাইলের ম্যাসেজে শুধু একবার কিস করার ম্যাসেজ দেয় এতকিছু উপকার করার পর মেয়েটি আর তাকে না করতে পারেনি। তার তার বাড়ীতে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে কিস দিতে গিয়ে জোর করে সেখানেও মেয়েটি নির্জাতিত হয়।

তো মেয়ের বাবাকে বলছি আপনার মেয়ের দিকে খেয়াল রাখুন। মেয়ে কিভাবে স্কুলে যাচ্ছে। কখন যাচ্ছে সব বিষয়ে নজর রাখুন। দরকার হলে মেয়ের মোবাইলের ম্যাসেজ চেক করুন। স্বাধীনতার নামে তাকে যাচ্ছে তাই করতে দিবেন না। তাহলে মেয়ে সারা জীবন আপনার ঘরেই থাকবে। বিয়ে দিলেও আবার চলে আসতে বাধ্য।

0 comments:

Post a Comment