Monday, June 29, 2020

আপনার শিশুকে যৌন হয়রানীকারীদের কাছ থেকে কিভাবে রক্ষা করবেন

"আম্মু এদিকে এসো তো,
তোমাকে কে সবচেয়ে বেশি আদর করে? আব্বু না আম্মু?
আঙ্কেল আদর করবো? আসো কোলে এসে বসো :)"

বিবিসির তথ্য অনুযায়ি বাংলাদেশে প্রতি ছয় মাসে গড়ে প্রায় ৪০০ জন শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয় এটা কি জানেন? একটু গুণ ভাগের হিসেবটা মিলিয়ে দেখুন, প্রতি মাসে প্রায় ৬০-৭০ জন! প্রতি দিনই ৫-৬ জন পুতুল খেলার বয়সী মেয়ে শিশু নোংরা দুর্গন্ধযুক্ত লোলুপদৃষ্টির মুখে পড়ে।

মনে রাখবেন, যৌনতা শুধু একটা বায়োলজিক্যাল বা শারীরিক বিষয় নয়, এর সাথে সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোও জড়িত। শিশু ধর্ষণ বা উৎপীড়ন কোন সমাজেরই প্রচলিত সংস্কৃতি বা নিয়মের সাথে মেলে না৷ এ কারণে সব সমাজেই পেডোফিলিয়া বা শিশুকামিতা হচ্ছে একটা বিকৃত যৌনাচার৷ যারা শিশুদের যৌন উৎপীড়ন করে আনন্দ পায় তাদের বলা হয় পেডোফাইল বা শিশুকামী৷ আর এই শিশুকামিতাকে পৃথিবীর সবচেয়ে হিংস্র এবং জঘন্য অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

কিভাবে নিরাপদে রাখবেন বলুন তো?

শহরাঞ্চলে বাসাবাড়িতে চার দেয়ালে বন্দী শিশুরা এ ধরণের উৎপীড়নের শিকার তুলনামূলক কম হয় (হয়না কিন্তু বলিনি)।

ঝুঁকিতে থাকে রিক্সাওয়ালার অবুঝ চাহুনির মেয়েটা, ঝুঁকিতে থাকে বাসাবাড়িতে কাজ করতে আসা বুয়ার পরীর মত মেয়েটা। এরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়। বাস-ট্রেন দেখে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে। "অগো হারাদিন চোহে চোহে রাখব কিডা?" খেয়াল রাখবেন, আপনার মেয়ে সন্তানটিকে যেন কেউ মিষ্টি মিষ্টি নামে না ডাকে। কেউ যেন অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠ হবার সুযোগ না পায়! সবথেকে বড় দায়িত্ব, মেয়ে সন্তানটিকে শেখাবেন, "কেউ যদি শরীরের এসব জায়গায় স্পর্শ করে এটা ভাল কথা নয়।" "কেউ এমনভাবে আদর করলে আম্মুকে বলবে, আব্বুকে বলবে, ভাইয়াকে বলবে।" ব্যাস এতটুকুই। নিম্ন আয়ের মানুষগুলোকে যখনই সুযোগ পাবেন বোঝাবেন এ কথাগুলো। তারাও যাতে তাদের মেয়ে সন্তানকে শিখিয়ে দেয়। আপনার মেয়েকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দিন। তবে স্বাধীনতার পাশাপাশি তাকে আপাদমস্তক নিরাপত্তা দেবার সম্পূর্ণ দায়টিও আপনার।

copy from

0 comments:

Post a Comment